একটা চাকরির সন্ধান করছি,
একটা চাকরি।
দীর্ঘ এক বছর ধরে হন্যে হয়ে খুজেঁ ফিরছি,
নগরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
একটা চাকরি চাই,
একটা চাকরি।
বিএ অনার্স (রাষ্ট বিজ্ঞান)। বয়স ২৬।
।
বয়সের ভারে ন্যূজ হয়ে যাওয়া
পিতার হাত ছুয়েঁ কথা দিয়েছি,
লেখাপড়া শিখে চাকরি করবো।
দারিদ্রতাকে পদাঘাত করে
সচ্ছলতার মুখ দেখবো।
দুখিনী মায়ের মলিন মুখে
এক চিলতে হাসি ফুটাবো।
মহা ধুমধামে ছোট বোনটার বিয়ে দেবো।
আর তাই টিউশনির টাকায় আধপেটা খেয়ে,
মনের গোপন খোয়াঁরে
একটাই স্বপ্ন বেধেঁ রেখে,
লেখাপড়া শেষ করেছি।
এবার একটা চাকরি চাই,
একটা চাকরি।
হোকনা ছোট,
তবুও
চাকরিটা আমার চাই ই চাই।
।
২৪ টি রিটেন, ১৭ টি ভাইভা।
অতঃপর লেনদেনের সমীকরণ।
আমি অসহায়, অক্ষম;
মুখ চেপে ফিরে আসি।
আসবে না জানি তবুও,
লেটারের প্রত্যশায় প্রহর গুণি।
সেদিন রাহুল রায়হান নামের
এক ভদ্রলোক বললেন,
"আরে ভাই, চাকরি কি এখন অফিসে পাওয়া যায়?
এমপি, মিনিস্ট্রিদের বাসভবনই
এখন চাকরির বাজার"!
অজোঁ গায়েঁর ছেলে আমি;
মিনিস্ট্রি ভবন?
সেতো মঙ্গল গ্রহ!
।
হে মিনিস্ট্রি, আমি নিরুপায়,
শুধু একটা চাকরি চাই,
একটা চাকরি!
মিনিস্ট্রিদের কি কান আছে?
ওরা শুনতে পায়?
- পিসি দ্বীপ