১১ ডিজিটের নম্বর অপরিবর্তিত রেখেই মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের (এমএনপি)
সুযোগ পাওয়া এখন গ্রাহকদের সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এ জন্য খরচ লাগবে ৩০
টাকা।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ১৩ কোটি মোবাইল সিম
ব্যবহারকারীরা তাদের আগের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের এ সুযোগ পাবেন বলে
জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বুধবার সচিবালয়ে
নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, এ সেবা
চালু হলে টেলিযোগাযোগ খাতে সেবার মান আরও বাড়বে।
তারানা হালিম বলেন,
এতে মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে উন্নত মানের সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতা তৈরি
হবে। আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তাল রেখে দেশের টেলিযোগাযোগ খাত বিকশিত
হচ্ছে। তাই এখানকার সেবাও বিশ্বমানের হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এমএনপি
চালু হলে সেবার গুণগত মান অনেক বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীর আশা, এখন একজন
অনেকগুলো সিম ব্যবহার করলেও ভবিষ্যতে এর সংখ্যা কমবে না। খুব দ্রুতই এ সেবা
দিতে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করা হবে।
তারানা হালিম বলেন,
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন পাওয়া গেছে।
কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হবে।
উন্মুক্ত দরপত্রে দেশি-বিদেশি যে কোনো প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। তবে বাঁধা থাকবে বিদ্যমান মোবাইল ফোন অপারেটদের জন্য।
নম্বর
অপরিবর্তিত রেখে ৩০ টাকায় গ্রাহকরা এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে যেতে
পারবেন। আবার যে অপারেটরে গেলেন সেখানকার সেবাও যদি পছন্দ না হয় তাহলে ৪০
দিন পর তিনি আবারো নতুন কোনো অপারেটরে যেতে পারবেন বা আগের অপারেটরে ফেরত
আসতে পারবেন। আর এর প্রতিটি পরিবর্তনের জন্যে লাগবে ৩০ টাকা।
এমএনপি নামক সেবাটি চালু হলে সেবার মান বাড়াতে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও তৈরি হবে।
টেলিযোগাযোগ
বিভাগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানায়, এমএনপি সুবিধা চালু করতে
অপারেটর হিসেবে বিটিআরসি একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে। এজন্য দরপত্র
আহ্বান করা হবে।
নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালের জুন মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।