হঠাৎ ঐ শিউলি গাছের নিচে
এক টুকরো পরশ নিবেদনের একটি কাব্য,
আমি স্পষ্ট চোখে,ঠোঁটের আড়ালে
নির্দিধায় বলে যাই!
ঘাসের বুকে শিশির যেমন ঘুমায়,
তোমার পশমভরা বুকের কোণে অক্ষ্যান্ত ঢেউয়ের মতো
আমিও না হয় ঘুমাবো।
আসুক যত যুদ্ধ থেকে যুদ্ধ।
ফাল্গুনের আকাশে যদি চৈত্রের খরতা আসে
যদি ম্লান হয়ে যায় বসন্তকন্যারা।
অজস্র রহস্যের হাসি ভেদ করে যদি,
সাতরংধনু খন্ড-বিখন্ড হয় বিশাল আকাশ জুড়ে
তবুও আমি একটুকরো পরশনিবেদনের কাব্য,
তোমায় দিয়ে বলবো,ভালোবাসো?
আমি তোমায় আগলে রাখবো ঠোঁটের আড়ালে
।
ভোরবেলাই পাখি যখনডাকবে,
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে হবে তোমার পশমভরা বুকের
কোণে,শিউলিবনে।
হারিয়ে যাবো নির্জনে।
যদি বিশাল বড় পাচিল টপকে
রক্তে রক্তে রক্তাক্ত হয়ে,
পৌঁছাতে হয় শিউলিবনে,
ভয় পেয়ো না।
তবুও যাবো
তোমার পশমভরা বুকের কোণে
তুমি যদি বলো শিউলিবনে না।
যাবে কাশবনে,হতে পারে
ঘাসবনে।
আমি তাতেই রাজি।
শুধু আমাই আগলে রেখো হাজার
প্রহর।
তোমার পশমভরা বুকের
কোণে,
যদি আঁধার রাতে
নির্জন পথে,
পুষ্পরথে তোমার
সাথে পৌঁছাতে হয়,
শিউলিবনে।
এক শাড়িতেই ছুট্টে যাবো,
তোমার পশমভরা বুকের কোণে।
যদি চাও চাঁদ আকাশে
বা কোনো শিশির ভেজা
ঘাসে,
যেতে যদি হয় কোনো
ক্লান্তদেশে,
আমি তাতেও
রাজি।
শুধু একটু রেখো তোমার পশমভরা
বুকের কোণে।
ঘোর অমানিশায়,কোনো
ছন্নছাড়া দিশায়।
জৈষ্ঠ্যের গুঞ্জনে, কোনো
আলোড়িত দ্বীপবনে।
যদি নিয়ে যেতে চাও অদূর
কোনো জঙ্গলবনে,
তাও যাবো।
শুধু আমায় আগলে রেখো।
তোমার পশমভরা বুকের কোণে,
আমি তোমায় একটি কাব্য
নিবেদন করবো।
প্রেমের কাব্য।